পড়াশোনা স্কুল
পার্বিক পরীক্ষা – ইং
শ্রেণিঃ ৬ষ্ঠ
বিষয়: বাংলা ১ম পত্র
সময়: ২:৩০ মিনিট পূর্ণমান: ৭০
[প্রত্যেক বিভাগ থেকে কমপক্ষে ১টি করে মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দাও]
ক-বিভাগ
১। কালাম, আবুল ও হাফিজ একই গ্রামে বাস করে। তাদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। কোনো মতে দিন অতিবাহিত করে। হাজী কালাম কে একটা ভ্যানগাড়ি আর হাফিজকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিল। আর বলল, তোমরা পরিশ্রম করে খাও আর তোমাদের সাধ্যমত গরিব মানুষের উপকার করো। আবুলকে একটা রিক্সা কিনে দিল। তাদের পরীক্ষা করার জন্য হাজী একটা লোক পাঠালো। আবুল ও কালাম সাহায্য করেননি। শুধু হাফিজ তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল।
ক) স্বর্গীয় দূত কতজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন?১
খ) স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল কেন? ২
গ) কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে, ‘সততার পুরষ্কার’ গল্পের যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) “হাফিজের কাজের মঝে ‘সততার পুরষ্কার’ গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত”-কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪
২। খলিফা মামুনের সময়কালে দামেস্কের জনৈক শাসনকর্তা পদচ্যুত হন। নতুন শাসনকর্তা মামুনের একজন প্রিয়পাত্র ছিলেন আলী ইবনে আব্বাস, তিনি স্থানীয় একজন সম্ভান্ত ব্যক্তির কাছে আশ্রয় লাভ করে জীবন রক্ষা করেন। পরবর্তীতে আলী ইবনে আব্বাসের আশ্রয় দাতা ঐ সম্ভান্ত ব্যক্তিটি খলিফা মামুনের সৈন্যদল কর্তৃক বন্দি হয়। তাকে আলীর গৃহে রাখার ব্যবস্থা করেন। আলী ইবনে আব্বাস বন্দি ব্যক্তির সার্বিক পরিচয় জানতে পেরে উপকারীর উপকরের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করেন এবং খলিফার কাছে তার মুক্তির সুপারিশ করেন।
ক) স্বর্গীয় দূত সর্বশেষ কার কাছে গিয়েছিলেন? ১
খ) স্বর্গীয় দূত কেন পুনরায় তাদের কাছে গিয়েছিলেন? বুঝিয়ে লিখ। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সততার পুরষ্কার’ গল্পের কোন দিকটির মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সততার পুরষ্কার’ গল্পের মিল থাকলে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৩। মিছিলে পা মিলিয়ে সেও চলছে শহিদ মিনারে ফুল দিতে। সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে চলছে-আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি? কিন্তু তার গলা দিয়ে কথা তো ফুটে না, শুধু শব্দ হয় আঁ আঁ আঁ আঁ। আসলে কথা ফুটবে কি করে? লখা যে জন্মবোবা। বাংলা বুলি তার মুখে ফুটে পায় না।
ক) মিনু কিসের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে? ১
খ) ‘মহৎ হয়ে সুবিধাই হয়েছে যোগেন বসাকের’-ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের লখা এবং ‘মিনু’ গল্পের মিনুর সাদৃশ্য আলোচনা কর। ৩
ঘ) উদ্দীপকের লখা এবং ‘মিনু’ গল্পের মিনুর কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও গল্পের সামগ্রিক দিক অনুপস্থি।- কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪
৪। আহার সম্বন্ধে এদের মোগলাই রুটি, গোপালের মতো যা পায় তা খায় না। বন্ধনশিল্প ইউরোপের কোথাও থাকে যদি তা পারীতে। এত দুনিয়ার সব দেশের খানার এরা সমঝাদার, সেই জন্য যেকোনো রোস্তোরাঁয় সব নেশনের খাদ্যের একটা না একটা নমুনা পাওয়া যাবেই। সবচেয়ে আর্শ্চায এই যে, পারীতে অল্প খরচে অনেকখানি তৃপ্তির সাথে খেতে পারা যায়। রান্নাটা উচুদের তো বটেই। রান্নাটা টাটকা। শাকসবজির ও মাংেেসর জন্য ইংল্যান্ডে অন্যদেশের মুখাপেক্ষী, ফ্রান্স তেমন নয়।
ক) কোন শহরকে নিশাচর বলা হয়? ১
খ) মিশরে গিয়ে লেখকের প্রাণ কেন কাঁদছিল? ২
গ) উদ্দীপকের সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার কোন বিষয় সাদৃশ্য বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর ৩
ঘ) উদ্দীপকটি ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার একটি বিশেষ অংশ উপাস্থাপন করেছে মাত্র, সম্পূর্ণ নয়। মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
খ-বিভাগ
৫।
ধন ধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক-সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ, স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে, আমার জন্মভ‚মি।
ক) কবির অঙ্গ জুড়ায় কিসে? ১
খ) কবির শেষ ইচ্ছা কি? ২
গ) উদ্দীপকে ‘জন্মভ‚মি’ কবিতার কোন দিকটির মিল লক্ষ্য করা যায়। ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) উদ্দীপকে ও কবিতায় জন্মভ‚মিকে রাণী সম্বোধন করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা কর। ৪
৬।
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী।
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে,
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।
ক) কিসে কবির চোখ জুড়িয়েছে? ১
খ) ‘শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে।’-ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সাথে ‘জন্মভ‚মি’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) “স্বদেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসাই উদ্দীপক ও জন্মভূমি কবিতার মূল বিষয়।”-বিশ্লেষণ কর। ৪
৭।
প্রতিবেশী দাস দাসি আত্নীয় স্বজন,
ভালোবাসি সব কহ সুমিষ্ট বচন।
দিও না কাহারে দুঃখ,
অন্যে দান করি সুখ।
নিজেরে মানো গো সুখী, বালক সুজন।
ক) কিসের মতো সুখ অন্য কোথাও নেই? ১
খ) “এ জীবন মন সকলি দাও”-কবি চরণটিতে কী বলতে চেয়েছেন? ২
গ) উদ্দীপকের উপদেশ বাণীতে ‘সুখ’ কবিতার কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) ‘সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের বিবরণ ‘সুখ’ কবিতার সামগ্রিক ভাব প্রতিফলিত হয়নি।”-তোমার মতাতমত কি বিশ্লেষণ কর। ৪
৮। বর্তমান পৃথীবিতে বিভিন্ন রকমের মানুষ বসবাস করছে। আফ্রিকার আধিবাসী বা নিগ্রোরা কুচকুচে কালো। আবার ইউরোপীয়ানরা ধবধবে সাদা বা ফর্সা। এভাবে পৃথিবীতে নানান জাতি, ধর্ম ও বর্ণে ভিন্ন থাকলেও ক্ষুধা, তৃষ্ণা, সুখ-দুঃখের অনুভ‚তি একই রকম। সবার রক্তের রং লাল। তাই জাতি, ধর্ম, বর্ণ উর্ধ্বে আমাদের পরিচয় হলো আমরা মানুষ।
ক) ‘মানুষ জাতি ’ কবিতাটির মূল নাম কি ছিল? ১
খ) ‘দুনিয়া সবারি জনম-রেদি’-এ কথা দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে? ২
গ) উদ্দীপকে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) “আমাদের পরিচয় হলো আমরা মানুষ” উদ্দীপক এবং ‘মানুষ জাতি’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪
গ-বিভাগ
৯। জরিনার স্বামী ভ‚লে মোবাইলটি ঘরে রেখে কাজে বের হয়। সে আন্দাজে টিপতে গেলে ‘দুঃখিত সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’, বলে একটি মহিলার কন্ঠ ভেসে ওঠে। মহিলার কন্ঠ শুনে তার স্বামী গোপনে আর একটা বিয়ে করেছে ভেবে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় জরিনা। স্বামী কাজ সেরে ঘরে এলে বিষয়টি বুঝিয়ে দিলে শান্তি হয় তার।
ক) আয়না কোথায় পাওয়া গিয়েছিল? ১
খ) চাষি আয়নার নিজের প্রতিচ্ছবি বাপজানি মনে করল কেন? ২
গ) উদ্দীপকটিতে জরিনার মধ্য দিয়ে ‘আয়না’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) উদ্দীপকের ‘আয়না’ গল্পের সমস্ত দিক প্রতিফলিত হয়েছে কি? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ৪